রুবেল ইসলাম,রংপুরঃঃ
পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় বৃদ্ধার হাত থেকে বয়স্কভাতার বই ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মহিলা ইউপি সদস্যা নুরনাহারের বিরুদ্ধে। টাকা না দেওয়ায় রীতিমত হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবী ভুক্তভোগীর পরিবারের। তবে ইউপি সদস্যা বলছেন ভূল করে তার নাম বয়স্ক ভাতা তালিকায় আসছে,জোড়পূর্বক ভাতার কার্ড আটক করাকে গুজব বলে দাবী করছেন তিনি।
সরেজমিনে- রংপুরের মিলনপুর ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের তরফ সাদি গ্রামের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা তছলিমুদ্দীন,বয়স্ক ভাতার একটি কার্ডের জন্য ঘুরেছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দ্বারে দ্বারে কিন্তু বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও টাকার অভাবে হয়নি ভাতার কার্ড,শতভাগ বয়স্ক ভাতা ঘোষনা হওয়ায় আশার আলো দ্যাখেন তিনি! অবশেষে ৮৩ বছর বয়সে চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে ভাতার কার্ড পেলেও পাঁচ হাজার টাকার জন্য ছিনিয়ে নেয় ৪,৫,৬ ওয়ার্ড এর মহিলা ইউপি সদস্যা নুরনাহার বেগম। উল্লেখ্য এর পূর্বে তার স্ত্রীর কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিবে বলে দেড় বছর পূর্বে চার হাজার টাকা গ্রহণ করে। শতভাগ বয়স্ক ভাতায় তার নাম আসলে আরও এক হাজার টাকা জোড় পূর্বক দাবী করেন । তা না দেওয়ায় তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি?
তছলিমুদ্দিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়- চেয়ারম্যান এর কাছে আমরা ওয়াদা করছি যে আমরা কাউকে এই ভাতা কার্ড নেওয়ার জন্য টাকা দেয়নি! যার ফলে চেয়ারম্যান আমাদের হাতে বই দেয়। সেই বই নিয়ে পরের দিন যখন টাকা তুলতে যাই এবং বই জমা দেই। সকাল দশটার সময় গেছি রাত দশটা বাজে সবাইকে টাকা দেয় এবং আমাকে দেয় না । না খেয়ে সারাদিন ওখানে বসে থাকি! পরে জানতে পারি আমার ভাতার বই মহিলা মেম্বার নিছে পরে আমার বাড়িতে এসে আমার কাছে টাকা চায়? টাকা দিলে বই দিবে না হলে দিবে না?
তছলিমুদ্দিনের ছেলে নয়া মিয়া বলেন- ইউনিয়ন পরিষদের ছেলেটাসহ মহিলা মেম্বার বুদ্ধি করি আমার বাবার বই আটকে দিছে। না হলে জমা দেওয়া বই সেখান থেকে কিভাবে মহিলা মেম্বার পায়?
এছাড়া গ্রামের অর্থের বিনিময়ে ভাতার কার্ডের জন্য বছরের পর বছর টাকা দিয়েও নিরাশ হয়েছেন অনেকে। আবার যাদের ভাতার কার্ড হয়েছে টাকা উত্তোলনের পর তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন হাজার টাকা । নানাবিধ অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ও তার বাড়িতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও অবশেষে মুঠোফোনে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন তিনি নুরনাহার বেগম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছৃুক কিছু লোক এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলেন- এই মহিলা মেম্বার এইবার বয়স্ক ভাতার প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা তার বাড়িতে আনছে। যারাই তার দেওয়া কার্ডের টাকা পেয়েছে তাদের কাছ থেকে চার-পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়েছে। টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না এই ইউপি সদস্যা।
শেখ হাসিনার মমতা,বয়স্কদের জন্য নিয়মিত ভাতা- এরি ধারাবাহিকতায় অসৎ পন্থা অবলম্বন না করে শতভাগ বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত হবে এমনটাই দাবী উপজেলা বাসীর।